জেএমবির সারোয়ার-তামিম গ্রুপের আরও ২ সদস্য নারায়ণগঞ্জে গ্রেফতার

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ) : চলতি বছরেই  সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকা থেকে সারোয়ার-তামিম গ্রুপ এর ২ জন জেএমবি সদস্যকে গ্রেফতারের পর রূপগঞ্জ থেকে আরও সক্রিয় দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব ১১ এর একটি দল। মঙ্গলবার ২রা মে রাত সাড়ে ১১ টার দিকে রূপগঞ্জ উপজেলার রূপসি বাসষ্ট্যান্ড থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে র‌্যাব জানিয়েছে। নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সারোয়ার-তামিম গ্রুপ এর গ্রেফতারকৃত সক্রিয় দুই সদস্যরা হলো, রাজধানীর পশ্চিম রামপুরার মো: কাইয়ুম হাওলাদার ওরফে মিঠু (৩২) ও উত্তর মান্ডার মো. সেলিম (৩২)। গ্রেফতারকৃতরা সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় চলতি বছরের ৭ এপ্রিলে দায়ের করা মামলা (নং-১৪) এজাহার নামীয় পলাতক আসামী।

র‌্যাব -১১ এক বিবৃতিতে জানায়, চলতি বছরের ৬ ও ৭ এপ্রিলে র‌্যাাবের অভিযানে সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড ও কুমিল্লার গৌরীপুর এলাকা হতে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবির (সারোয়ার-তামিম গ্রুপ) এর  ৮ জন বিস্ফোরক ও বোমা তৈরির সরঞ্জামাদিসহ এবং ১৭ ও ১৮ এপ্রিল সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকা থেকে ২ জন জেএমবি সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। আটককৃতদের দেয়া তথ্যে মিঠু ও সেলিমের নাম রয়েছে। আটকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে তারা ৬ ও ৭ এপ্রিল কুমিল্লা ও নারায়ণগঞ্জ এলাকা হতে গ্রেফতারকৃত জেএমবির (সারোয়ার-তামিম গ্রুপের) সদস্য এবং তাদের পরিকল্পিত নাশকতার কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত।

মো. কাইয়ুম হাওলাদার ওরফে মিঠু বিগত ৫ বছর ধরে ঢাকায় বসবাস করছে। সে ২০১২ সালে পিরোজপুর থাকাকালীন জনৈক মামুন এর মাধ্যমে জঙ্গিবাদে অন্তর্ভূক্ত হয় এবং পরবর্তীতে ঢাকায় চলে আসে। এরপর সে ২০১৬ সালের শুরুতে জেএমবিতে (সারোয়ার-তামিম গ্রুপে) যোগদান করে। সে ঢাকা, লালমনিরহাট, পিরোজপুর, বাগেরহাট, গাইবান্দা ও কক্সবাজারসহ বিভিন্ন জেলায় গমন করে দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করত। সে লালমনিরহাটের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এবং নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন চরে গিয়ে জঙ্গি প্রশিক্ষণের জন্য স্থান নির্ধারণের কাজও করত।

অপরদিকে এজাহার  মোঃ সেলিম বিগত ১৫ বছর ধরে ঢাকায় বসবাস করে এবং মুফতি মো. জসিম উদ্দিন রাহমানির কাছে যাতায়াত শুরু করে এবং তার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে জঙ্গিবাদে প্রবেশ করে। পরবর্তীতে সে বিগত ২০১৬ সালের শুরুতে জনৈক মোনতাছির এর মাধ্যমে জেএমবিতে (সারোয়ার-তামিম গ্রুপে) যোগদান করে এবং সক্রিয় সদস্য হিসেবে দাওয়াতি কার্যক্রম শুরু করে।

সে তার মুরগীর ব্যবসার অন্তরালে জেএমবির অন্যান্য সদস্যের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করত। বিভিন্ন জঙ্গিবাদী ভিডিও চিত্র সংগ্রহ করে সমমনাদের ভিতর প্রচার করে আসছিল। সে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারণ করে জেএমবির প্রচার কার্য চালিয়ে আসছিল বলে র‌্যাব জানায়।

add-content

আরও খবর

পঠিত