বড় দিন উদযাপনে আলোকসজ্জা ও নানা আয়োজনের প্রস্তুতি সম্পন্ন

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বিশেষ প্রতিনিধি ) : আজ বড় দিন। খ্রিস্টান ধর্মের বৃহত্তম  উৎসব বড় দিন উদযাপনে আলোকসজ্জা ও নানা আয়োজনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নারায়ণগঞ্জে খ্রিস্টান ধর্মের প্রর্থনাগারের দুইটি প্রতিষ্ঠান। খ্রিস্টান ধর্ম অনুসারীদের দুইটি গোত্রের  একটি ক্যাথলিক ও দ্বীতিয়টি ব্যাপ্টিস্ট যার জন্য নারায়ণগঞ্জ শহরে দুটি গির্জা রয়েছে। ক্যাথলিকদের জন্য শহরের ১৩৫ বঙ্গবন্ধু সড়কে সাধু পৌলের গির্জা ও ব্যাপ্টিস্টদের জন্য সিরাজউদ্দৌলা সড়কে ব্যাপ্টিস্ট চার্চ।

রবিবার ২৫ ডিসেম্বর বড় দিন উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছে প্রার্থনা সভা, কেক কাটা, কীর্তন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সারাদেশের মত বাংলাদেশের খ্রিষ্ট ধর্মানুসারীরাও আজ আনন্দ-উৎসব ও প্রার্থনার মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করবেন। এরই মধ্যে বঙ্গবন্ধু সড়কের সাধু পৌলের গির্জা ও সিরাজউদ্দৌলা সড়কের ব্যাপ্টিস্ট চার্চকে সাজানো হয়েছে আলোকসজ্জার বর্ণিল সাজে।

উৎসবটি পালন করতে বঙ্গবন্ধু সড়কে অবস্থিত সাধু পৌলের গীর্জায় সকাল ৮ টায় বড়দিনের বিশেষ প্রার্থণার আয়োজন করা হয়েছে। প্রার্থণা পরিচালনা করবেন ফাদার অমল রোজারিও ডি কষ্টা। প্রার্থণা শেষে ককে কাটা ও সকলের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করা হবে।

অপরদিকে নারায়ণগঞ্জের কালির বাজারে অবস্থিত ব্যাপটিষ্ট গির্জায় সকাল ৯ টায় বিশেষ প্রার্থণা। প্রার্থণা পরিচালনা করবেন ঢাকা মিরপুর থেকে আগত ফাদার রেভারেন্ট রবার্ট সরকার। প্রার্থণা শেষে কেক কাটা ও সেই সাথে সান্তা ক্লোজ ছোটদেরকে নানা প্রকার উপহার বিতরন করবে। বড়দিনের আনন্দ মুখরিত করতে তৈরি করা হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি ।

এ ব্যাপারে জেলা খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পিন্টু পলিকাপ পিউরিফিকেশন বলেন, সকাল ১১টায় আমরা কেক কাটবো। আমাদের অনুষ্ঠানে এবার জেলা প্রশাসক রাব্বি মিয়া ও জেলা পুলিশ সুপার মঈনুল হক উপস্থিত থাকবেন। মুলত অনুষ্ঠানের পর সবাই বাইরে উৎসব করে, কিন্তু আমাদের এখানে পর্যাপ্ত জায়গা নেই তাই বিভিন্ন রেস্টুরেন্টগুলো সাজিয়ে আয়োজন করা হয়।

উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সড়কে অবস্থিত সাধু পৌলের গির্জা ১৯৪৯ সালে ইতালিয়ান ফাদার জন সে ক্যাথলিক গির্জা প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি গির্জার নাম দেন সাধু পৌলের গির্জা।`অপরদিকে, কালির বাজারে অবস্থিত ব্যাপ্টিস্ট চার্চটি ১৮৪৫ সালে প্রতিষ্ঠিত। চার্চ প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে রেভারেন্ড রামচরণ ঘোষের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এ চার্চে ধর্মীয় আচার ছাড়াও বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজকর্মও হয়ে থাকে। এগুলোর মধ্যে চিকিৎসা সেবা, মাতৃসদন, শিক্ষাদান উল্লেখযোগ্য।

প্রসঙ্গত, নারায়ণগঞ্জে ক্যাথলিক ও ব্যাপটিস্ট ছাড়াও খ্রিস্টানদের কয়েকটি ক্ষুদ্র সম্প্রদায়ের লোকও রয়েছে। তাদের জন্য নারায়ণগঞ্জে কোনো চার্চ নেই। তারা বাসায় কিংবা অফিসে অথবা চায়নিজ রেস্টুরেন্টে বড়দিন উপলক্ষে অস্থায়ী গির্জা তৈরি ও ক্রিসমাস-ট্রি সাজিয়েছে।

add-content

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও খবর

পঠিত