নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর প্রতিনিধি ) : নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলার বক্তারকান্দি এলাকার সন্ত্রাসী ও লম্পট বল্টু আমজাদ কর্তৃক এক পর নারীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলায় স্ত্রীকে হত্যার চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। অপমান সহ্য করতে না পেরে প্রহৃত স্ত্রী নিজেকে শেষ করে দেয়ার জন্য ৬০ টি ঘুমের বড়ি ও ইঁদুর মারার ঔষধ খায়। পরে বল্টু আমজাদ তার স্ত্রী সন্ধ্যাকে তরিঘরি করে শহরের খানপুর ৩ শত শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাড়ি নিয়ে যায়।
জানা গেছে, উপজেলার বক্তারকান্দি এলাকার বাসীন্দা মৃত লাল মিয়া সরদারের কু-পুত্র আমজাদ ওরুফে বল্টু আমজাদ দীর্ঘনি ধরে উক্ত এলাকাল উঠতি বয়সের মেয়েদেরকে উত্যক্তসহ জোর পূর্বক ধর্ষন করে আসছে। এরকম শত ঘটনা ঘটালেও কেউই নেইনি কোন আইনগত ব্যবস্থা। কেনা না সে অত্র এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি। ফলে তার শত অন্যায় সহ্য করে থাকতে হয় ঐ এলাকার সাধারন মানুষদের। কিন্তু তার এহেন কর্মকান্ডে কেউ মুখ না খুললে সাহসীকতার পরিচয় দিয়েছিল একই এলাকার পুইক্কা শাহিনের স্ত্রী ববি। তাকেও সে জোরপূর্বক ধর্ষন করেছিল। পরে সে ধর্ষনের একটি মামলা দায়ের করে। এতে বদমাশ আমজাদ বেশ কিছুদিন কারাগারে দিন যাপন করে। পরে জামিনে মুক্ত হয়ে আবারো ববিকে উত্যক্ত করতে থাকে। এ ঘটনাও ববি বন্দর থানার একটি সাধারন ডায়েরি করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত সোমবার সকাল অনুমান ৯ টায় বন্দর থানাধীন আমিরাবাদ এলাকার সফিউদ্দনের বাড়ির ভাড়াটিয়া মাসুর সাথে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত থাকাবস্থায় দেখে ফেলে তার স্ত্রী সন্ধ্যা। এ ঘটনা দেখে ফেলায় আমজাদ তার স্ত্রীকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করে। এতে সন্ধ্যা এই অপমান সহ্য করতে না পেরে ৬০ টি ঘুমের বড়ি ও ইঁদুর মারার ঔষধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা শেষে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে তাকে বল্টু আমাজাদ নজরবন্দি করে রেখেছে বলে জানা গেছ।
নাম না প্রকাশ করা শর্তে স্থাণীয় এক বাসিন্দা জানায়,এই বল্টু আমজাদের নারীদের প্রতি নেশা একদিনের নয়। সে দীর্ঘদিন ধরে এলাকার নিরীহ মেয়েদের কু-প্রস্তাব দিতো। তার প্রস্তাবে রাজি না হলে জোর করে ধর্ষন করতো। এরকম প্রায় ডজন খানে ঘটনা রয়েছে। তার এই ভয়াল নারী নেশা থেকে রক্ষা পায়নি তার আপন ভাতিজি,উকিল মেয়ে ও ভাইগ্না বউয়েরা। তার বউ শুধু এই ঘটনায়ই আত্মহত্যা করতে যায়নি। এর আগেও কয়েকবার আত্মহত্যা তার স্ত্রী সন্ধ্যা নিজেকে শেষ করে চেষ্টা করেছিল। তাই এলাকাবাসীর দাবী লম্পট বল্টু আমজাদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিৎ।
উল্লেখ্য,এই লম্পট আমজাদ শুধু একজন ধর্ষনকারীই নয় সে উক্ত এলাকার মুর্তিমান আতংক। সে একাধারে একজন সন্ত্রাসী,চাঁদাবাজ,ডাকাত,খুনি ও ছিনতাইকারী। সে উক্ত এলাকায় বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপ করে আসলেও প্রশাসন ছিল নীরব ভূমিকায়। এ কারনে সে একের পর এক অপকর্ম করতে সাহস পাচ্ছে বলে মনে করছেন স্থাণীয়রা।