ছেলেদের থেকে মেয়েরা এগিয়ে ছেলে আর মেয়ে সবাইকে শিক্ষিত করতে হবে- প্রধানমন্ত্রী

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) :  গণভবনে সকালে বৃহস্পতিবার ১৮ আগস্ট এইচএসসির ফল প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এইচএসসি পাসের হারে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা এগিয়ে।এ জন্য আমি  আনন্দিত। ছেলেমেয়ে সবাইকে অভিনন্দন। সন্তান সন্তানই। ছেলে হোক আর মেয়ে হোক, সবাইকে শিক্ষিত করতে হবে। কেনোনা, একমাত্র শিক্ষাই পারে দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়তে। বিশ্বের যেকোনো দেশের ছেলে-মেয়ের তুলনায় এ দেশের ছেলে-মেয়েরা অনেকে বেশি মেধাবী। তবে ছেলেদেরও পড়াশোনায় আরো বেশি মনোযোগ দিতে হবে। ছেলেরা বাইরে ঘোরাঘুরি করে, দুষ্টুমি করে। এ কারণে বেশি পড়াশোনা করতে চায় না। খেলাধুলা করতে হবে। দুষ্টুমিও করতে হবে। আর্ট-কালচারে সমৃদ্ধ হতে হবে। কিন্তু সবকিছুর পর পড়াশোনা করতেই হবে। ছেলেদের পিছিয়ে থাকলে চলবে না। সবাইকে সমানে সমান হতে হবে। এর পূর্বে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের নেতৃত্বে শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলাফলের কপি হস্তান্তর করেন।

 তিনি বলেন, আমি মনে করি, বিভিন্ন দেশের চেয়ে আমার দেশের ছেলে-মেয়েরা মেধাবী। শুধু তাদের সুযোগ করে দিতে হবে। আর আমরা সেই কাজই করছি। যে উপজেলায় সরকারি কলেজ নেই সেখানে কলেজ করা হচ্ছে। উচ্চ শিক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হচ্ছে। সেই সঙ্গে কারিগরি শিক্ষাকেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।নির্দিষ্ট সময়ের তিন দিন আগেই ফল প্রকাশ করায় সবাইকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, যারা স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেরনি, যারা একাত্তরে হানাদার বাহিনীকে সমর্থন করেছিল, তারাই ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল।জাতির পিতা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন শিক্ষাকে। কারণ শিক্ষা ছাড়া কোনো জাতি মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে না, সেটা তিনি জানতেন। স্বাধীনতার পর তিনি যে সামান্য সময় পেয়েছিলেন ঐ সময়ের মধ্যে শিক্ষার জন্য স্কুল-কলেজগুলো মেরামত করে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করেন।  সেই সঙ্গে ড. কুদরাত-এ-খুদাকে প্রধান করে একটি কমিশন গঠন করেন। তিনি চেয়েছিলেন, দেশের শিক্ষার্থীরা যেন আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। তিনি সবকিছুর ভিত তৈরি করে দিয়েছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগে পাসের হার হতো ৪০ ভাগ, ৫০ ভাগ। মানুষ তাতেই খুশি হতো। কিন্তু তখন আমার খারাপ লাগত। রাজনৈতিক হিসেবে তখন আমি উপকমিটি করে দিয়েছিলাম। আমাদের লক্ষ্য দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করব। একমাত্র শিক্ষাই এটা পারে। আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর থেকে জনগণ সেবা পাবে, এমন কাজ করি।

দেশকে গড়ে তুলতে আমাদের সরকার কাজ করে। ৯৬ সালে ক্ষমতায় গিয়ে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলে বিএনপি বলে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলে বিদেশি সাহায্য পাওয়া যাবে না। আমরা কেন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হব না। আমরা দেশ স্বাধীন করেছি, সবকিছুতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হব। আমরা কেন অন্যের কাছ থেকে ভিক্ষা গ্রহণ করব।

১৯৯৬ সালে আমরা শিক্ষা কমিশন গঠন করে দিয়েছিলাম। কিন্তু ৫ বছর খুব কম সময়। তাই বাস্তবায়ন করতে পারি না। ২০১০ সালে আমরা প্রথম পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা নীতিমালা করি। বিশেষায়িত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলি। আমরা বিজ্ঞান শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে ১২টা বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় করি।এ দেশ ১৬ কোটি মানুষের দেশ। আমাদের ভূখণ্ড কম কিন্তু জনসংখ্যা বেশি। তাই ছেলে-মেয়েদের এমন শিক্ষা দিতে হবে যাতে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারে।

শেষ হাসিনা বলেন, “বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল হয়ে গেছে। অনলাইনে কাজ হচ্ছে। অল্প খরচে এসএমএসে মানুষ পরীক্ষার ফলাফল জানতে পারছে। টাকা খরচ করে আর প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ফল জানতে হচ্ছে না।

 

add-content

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও খবর

পঠিত