বক্তাবলীতে মামা-ভাগিনার দ্বন্দ্বে আহত ৩

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : ফতুল্লার বক্তাবলীতে সাবেক ইউপি সদস্য সহ অপর দুজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। শনিবার বেলা সাড়ে ১০ টার দিকে ফতুল্লার বক্তাবলী ফেরিঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সংবাদ পেয়ে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক দু’জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।

আহতরা হলো বক্তাবলী ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য আব্দুর রশীদ (৪২), তার ভগ্নিপতি সবুজ (৪৩) ও সহযোগি আলমগির (৪০)।

স্থানীয় একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র মতে, হামলার নেতৃত্বদানকারী বাদল ও হামলার শিকার আব্দুর রশিদ আপন মামা-ভাগিনা। বক্তাবলী ফেরিগাট সংলগ্ন কণকর্ড তেলের পাম্প নিয়ে বাদল মিয়ার সাথে তার বড় দুই ভাই মোতালিব ও সোহরাবের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এ দ্বন্দ্বে বড় দুই মামার পক্ষ নিয়ে শনিবার বেলা সাড়ে ১০ টার দিকে রশিদ তার বাহিনী নিয়ে সেখানে গেলে পূর্ব থেকে অবস্থানরত বাদল ও তার বহিরাগত লোকজন দেশীয় তৈরি অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে রশিদ বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলে। বাদল মিয়ার লোকজন রশিদসহ ৩ জনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করলে অন্যরা পালিয়ে যায়। এসময় রণক্ষেত্রে পরিনত হয় বক্তাবলী ফেরী ঘাট এলাকা। পরে আহত ৩জনকে পাম্পের ভেতরে আটকে রাখে বাদল ও তার লোকজন। খবর পেয়ে বেলা সাড়ে ১২টায় ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে খানপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আহত ২জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।

কনকর্ড পেট্রোল পাম্পের মালিক অভিযুক্ত বাদল জানান, আব্দুর রশীদ তার আপন ভাগিনা। ৫ আগস্টের পর থেকে রশীদ জবর-দখল সহ এলাকায় চাঁদাবাজী করে আসছিলো। এরই ধারাবাহিকতায় তার নিকট ও ৫ লাখ টাকা চাঁদাদাবী করে। শনিবার সকালে চাদার জন্য রশীদ ও তার লোকজন চাঁদার দাবীতে ফেরিঘাটের সামনে তার গলাচেপে ধরে। এতে সে ডাক-চিৎকার করলে স্থানীয় এলাকাবাসী ছুটে এসে রশীদ ও তার সহোযোগিদের গণপিটুনী দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।

হামলার শিকার সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রশীদের সাথে যোগাযোগের চেস্টা করলে তার মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম জানান, পারিবারিক জমিজমার দ্ধন্ধের জের ধরে এ সংর্ঘেষের ঘটনা ঘটেছে। সংবাদ পেয়ে তিনি ফোর্স নিয়ে বেলা সাড়ে ১১ দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে আব্দুর রশীদ, তার ভগ্নিপতি সবুজ ও আলমগীর নামের তিনজনকে উদ্ধার করে খানপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য দুজনকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনায় এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

add-content

আরও খবর

পঠিত