নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : ছিনাতাইয়ের হটস্পট চিহ্নিত করে খুব শিঘ্রই তালিকা করে গ্রেপ্তার করা হবে এমন মন্তব্য করে জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল জানিয়েছেন, ইতমধ্যে জেলায় টহল পুলিশ ও চেকপোস্ট জোড়দার করা হয়েছে। আমরা ছিনতাইয়ের হটস্পটগুলো চিহ্নিত করছি। তাছাড়া বিভিন্নমাধ্যমে ছিনতাইয়ে জড়িতদের তালিকা করছি। খুব শিঘ্রই অন্যান্য ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে। গতকাল দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে চাঞ্চল্যকর গার্মেন্টকর্মী জনি হত্যাকান্ডে জড়িতদের রহস্য উদঘাটন এবং ছিনতাইকারীদের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনকালে এসব কথা বলেন।
তিনি আরো জানিয়েছেন, জনির হত্যায় জড়িত কুত্তা সাগর এবং বিশাল ছিনতাইকারী চক্রের অন্যতম নেতা। তাদের সাথে নারীসহ অন্যান্য ছিনতাইকারী চক্র রয়েছে। যারা নগরীতে ছিনতাই কাজে জড়িত। বিভিন্ন সময় ছিনতাই করে তাদেরকে ভাগ-বাটোয়ারা দেয় অন্যান্য সদস্যরা। তারা ওই বাকি ছিনতাইকারীদের নেতৃত্ব দিয়ে থাকে। নেতা হিসেবে তাদের সমীহ করে নগরীর ছিনতাইকারীরা।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, চাষাড়ায় জে.এস বাস যোগে ভোরে এসে পৌছে ছিল জনি। পরবর্তীতে ২৯ অক্টোবর ভোরে বাস থেকে নেমে পায়ে হেটে চাষাড়া ক্রসিং এর দিকে যাওয়ার পথে সদর থানাধীন রেললাইনের কাছে পৌছালে ছিনতাইকারীরা জনিকে জিম্মি করে। এসময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে ডান পায়ের হাটুর উপরে একটু পিছনের দিকে ছুরিকাঘাত করে তার ইনটেল মোবাইলফোন ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ওইসময় ছিনতাইকারীদের আঘাতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে জয়নুর রহমান জনি মারা যায়। জনি ফতুল্লা এলাকায় বিসিক শিল্প নগরীর ফেইম এ্যাপেয়ারেলস লিঃ কাজ করতো। জনি দৌলতপুর থানার চরপ্রাগপুর গ্রামের লালটু হোসেনের ছেলে। যেহেতু হত্যাকান্ডটি হওয়ার পর দেহটি রেল লাইনে পড়ে ছিল। এজন্য রেলওয়ে পুলিশ মামলাটির তদন্তভারে রয়েছে। আমরা আসামীদের রেলওয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করবো। রেলওয়ে থানার মামলা নং-১৫, যার তারিখ-২৯/১০/২০২২খ্রিঃ, ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল। মামলাটির বাদি নিহত জনির চাচা মোশাররফ মাহমুদ।
আরো জানা গেছে, মামলাটি রেলওয়ে থানায় রুজু হওয়ার পর পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল (পিপিএম বার) নির্দেশক্রমে মামলার ঘটনার সাথে জড়িত অজ্ঞাতনামা আসামীদের মধ্য হইতে আসামী সনাক্ত সহ গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) মোঃ তরিকুল ইসলামের সার্বিক সহযোগীতায় এবং অফিসার ইনচার্জ জেলা গোয়েন্দা শাখা আল মামুন এর নেতৃত্বে এসআই তারিকুল ইসলাম, এসআই আতিকুর রহমান ভইয়া, এসআই এএইচএম কামরুজ্জামান, এএসআই সেলিম উদ্দিন, এএসআই রঞ্জিত সরকার ও সঙ্গীয় ফোর্সসহ নারায়ণগঞ্জ সদর ও ফতুল্লা থানা এলাকায় সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করে। পরে তথ্য প্রযুক্তি ও গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকা জেলার দক্ষিন কেনারীগঞ্জ থানাধীন কাউটাইল আরব আল মামুন মিয়ার বাড়ী হতে সাগর ওরফে কুত্তা সাগর (২৩) এবং জয়চান ওরফে বিশাল (২৪) দ্বয়কে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার করার সময় আসামীদের হেফাজতে ঘটনার সময় ব্যবহৃত সুইচ গিয়ার ও ভিকটিমের ব্যবহৃত ইনটেল মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়।