বিআইডব্লিউটিএর ম্যানেজের মামলা

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বিশেষ প্রতিবেদক ) : ম্যানেজ হওয়ার জন্য মামলা দেয় বিআইডব্লিউটিএ এমন মন্তব্য করে বাংলাদেশ লঞ্চ মালিক সমিতি নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি বদিউজ্জামান বাদল বলেছেন, এ পর্যন্ত আমরা পাঁচটি ঘটনার সম্মূখীণ হয়েছি। যখনি একটি দূর্ঘটনা হয়, তখনি গিয়ে বিআইডব্লিউটিএ সবার আগে মামলা করে। ডিজি শিপিং, নৌ পুলিশ, কোস্ট গার্ড এবং জেলা পুলিশ, থানা পুলিশ কেউ কিছু না করলেও তারা মামলা করে। আমি বলবো এটাকে বিআইডব্লিউটিএ-র ম্যানেজের মামলা। সোমবার (২১ মার্চ) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় লঞ্চঘাটে সংগঠনের কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে তিনি এসব কথা বলেন।

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, মামলা হলে স্টাফ, ড্রাইভার নাম যেমন আসবে। মালিকের নামও আসবে। তারা প্রত্যেকটি মামলা মালিকের নাম বাদ দিয়ে মামলা  করেছে। আমরা বার বার বললেও তারা কর্ণপাত করেনি। উপরোন্ত যারে ধাক্কা দিয়ে মারলো তার বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছে।

এছাড়াও এম এল আফসারউদ্দিন লঞ্চডুবির ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত লঞ্চের মালিকের মামলা নেওয়া হয়নি এমনি অভিযোগ করে মালিক সমিতির সভাপতি বলেন, ডুবে যাওয়া লঞ্চটির মালিক দীল মোহাম্মদ। সকালে তার ছেলে আল ইসলাম মামলা করতে যান বন্দর থানায়। থানা পুলিশ মামলাটি নেয়নি। মামলা নেয়া হলো বিআইডব্লিউটিএর। তারা তো মামলা করার জন্য রেগুলার বডি না। তারা ডিজি শিপিংকে ডিঙ্গালো, নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ডকে ডিঙিয়ে বিআইডব্লিউটিএ মামলা করে কার্গোর মালিকপক্ষকে বাঁচিয়ে দিয়েছে। এ জিনিসটা আমার কাছে মনে হয় নাটক। এর জলন্ত প্রমান আপনারা দেখেছেন এরআগেও একটি কার্গো ৩৪জনকে মারলো। কি অবস্থায় আছে। বিআইডব্লিউটিএ সাজানো মামলা করে মালিককে বাদ দিয়ে। কোর্টে খবর নিলে পাবেন যে কি অবস্থায় আছে।

দূর্ঘটনার কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, শীতলক্ষ্যার প্রশস্ততা কমে যাচ্ছে। এটা কমে যাওয়ার মূল কারণ হচ্ছে। নদীর তীরে গড়ে ওঠা ভারী শিল্প কারখানা। তার উপর পণ্যবাহী জাহাজের চলাচল শতভাগ বেড়ে গেছে। কিন্তু এটাকে নিয়ন্ত্রণে কোন ট্রাফিক ব্যবস্থা চালু করা হয়নি।যাত্রীবাহী লঞ্চ ও পণ্যবাহী জাহাজসহ অন্যান্য জলযান চলাচলের জন্য নৌ পথে ট্রাফিক ব্যবস্থা চালুর দাবি বিভিন্ন সময় উঠলেও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)করে নাই।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র সহ সভাপতি মনিরুজ্জামান রাজা, সহ সভাপতি নুরুল আলম কাজল, সহ সভাপতি অহিদুজ্জামান দুদু,  নির্বাহী সদস্য মো. আলমগীর মিয়া, মো. হোসেন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

add-content

আরও খবর

পঠিত