এবার র‌্যাবের হাতে ধরা পড়লো মালয়েশিয়া প্রবাসী প্রতারক তরিকুল

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ) : নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে মো. তরিকুল ইসলাম নামে এক মালয়েশিয়া প্রবাসী প্রতারককে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব ১১ এর সদস্যরা। সে মিথ্যা তথ্য প্রদান করে বিভিন্ন নামে এ পর্যন্ত মোট ৫ টি পাসপোর্ট তৈরী করেছে। সর্বশেষ পাসপোর্টটি সে গত বছরের ৯ই মার্চ পাসপোর্ট ও ভিসা উইং, বাংলাদেশ হাই কমিশন, কুয়ালালামপুর, মালয়েশিয়া হতে গ্রহণ করে।

উক্ত পাসপোর্টে তার জন্ম নিবন্ধন নম্বর দেয়া থাকলেও বাস্তবে ওই জন্ম নিবন্ধন নম্বরের বিপরীতে কোন তথ্য পাওয়া যায় নি। মূলত তার প্রকৃত নাম ওসমান গনি ডালিম। মালয়েশিয়া প্রবাসী জনৈক ব্যক্তির লিখিত অভিযোগের সূত্র ধরে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১১ই ফেব্রুয়ারি শুক্রবার নারায়ণগঞ্জ বার্তাকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব-১১ এর এএসপি মো. রিজওয়ান সাঈদ জিকু এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশী মো. তরিকুল ইসলাম মালোশিয়ায় অবস্থানকালে বিভিন্ন প্রবাসী ভাইদের ওয়ার্ক পারমিট, ভিসা, পাসপোর্ট ইত্যাদি করে দেয়ার কথা বলে হাজার হাজার মালয়েশিয়ান রিংগিত প্রতারণ পূর্বক গ্রহণ করে কিন্তু তার সকল তথ্য (নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, ঠিকানা, ব্যক্তিগত নম্বর, জন্ম তারিখ ইত্যাদি) মিথ্যা হওয়ায় দীর্ঘদিন তাকে গ্রেফতার করা বা আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয় নি।

তথ্য প্রদানকারী ব্যক্তি র‌্যাবকে জানান, উক্ত প্রতারক প্রতারণা লব্দ অর্থ নিয়ে সোনারগাঁ থানার পাঁচানি এলাকায় অবস্থান করছে। পরে প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রতারকের অবস্থান সনাক্ত করে ১০ ফেব্রুয়ারি বিকালে সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন শিমরাইল এলাকায় নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগ অফিসের পাশে ফুট ওভার ব্রিজের নীচ থেকে গ্রেফতার করে।

পরে তরিকুল ইসলামের কাছে তার পাসপোর্ট, মালয়েশিয়ায় তার ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং সেখানকার পার্মানেন্ট রেসিডেন্সিশিপ কার্ড পাওয়া যায়। প্রাপ্ত পাসপোর্টে প্রদত্ত তথ্য স্থানীয়ভাবে যাচাই-বাছাই শেষে জানা যায় যে, পাসপোর্টে উল্লেখিত আসামীর নাম, পিতার নাম, মাতার নাম এমনকি পাসপোর্টে উল্লেখিত জন্ম তারিখ এবং জন্ম নিবন্ধন নম্বর সবই মিথ্যা।

গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিঙ্গাসাবাদে জানা যায়, সে মালয়েশিয়ায় বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত থাকায় মালয়েশিয়ান সরকার মালয়েশিয়ায় তার অবস্থান নিষিদ্ধ করে এবং তার পাসপোর্ট বাতিল করে দেয়। তাকে আইনের আওতায় আনার জন্য মালয়েশিয়ান সরকার তাকে খুঁজতে থাকে। আসামী বিষয়টি বুঝতে পেরে সম্পূর্ণ নতুন নাম পরিচয় দিয়ে নতুন পাসপোর্ট তৈরী করে। পরবর্তীতে সে এই তথ্যের ভিত্তিতে মালয়েশিয়ায় ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং স্থায়ী রেসিডেন্সশিপ কার্ড ইত্যাদি সংগ্রহ করে। এইভাবে সে প্রায় দুই যুগ অবাধে মালয়েশিয়া অবস্থান এবং বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রম করে আসছে। ওসমান গনি ডালিম এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

add-content

আরও খবর

পঠিত