নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( নিজস্ব প্রতিবেদক ) : শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৬ তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভা মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করা হয়। ১৯ই জানুয়ারি বুধবার বিকাল সাড়ে ৩ টায় কালিবাজারস্থ মহানগর বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এই আয়োজন করা হয়।
মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি এ্যাড. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, সহ-সভাপতি আতাউর রহমান মুকুল, হাজী নুরুউদ্দিন আহম্মেদ, ফখরুল ইসলাম মজনু, এ্যাড. রিয়াজুল ইসলাম আজাদ, এ্যাড. রফিক আহমেদ, মনিরুজ্জামান মনির, মহানগর বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাজী ইসমাইল, আওলাদ হোসেন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মুজিবুর রহমান, মহানগর যুবদলের আহবায়ক মমতাজ উদ্দিন মন্তু, সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল, যুগ্ম-আহবায়ক মোয়াজ্জেম হোসেন মন্টি, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী রহিমা শরীফ মায়া, মহানগর মহিলা দলের সভানেত্রী দিলারা মাসুদ ময়না, মহানগর শ্রমিক দলের সদস্য সচিব আলী আজগর। সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষে মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করা হয়।
সভাপতির বক্তব্যে এ্যাড.জাকির হোসেন বলেন, ১৯৭১ সালে কালো হানার থাবা থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্যই শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জম্ম হয়ে ছিলো। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েই বসে থাকেননি রনাঙ্গনে যুদ্ধ করে ছিলেন। আর সেই সময় আওয়ামী লীগের নেতারা ভারতে গিয়ে জামাই আদরে ছিলেন। স্বাধীনতার পরবর্তী সময় আওয়ামীলীগ রাষ্ট্র পরিচালনার নামে লুট, ধর্ষণ, রাহাজানি, শুরু করে দিয়ে ছিলো। ১৯৭৫ সালের পরবর্তী সময় ৭ নভেম্বর সিপাহী জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দেশ ও জনগনের প্রয়োজনে আবার এসে ছিলেন। মাত্র সাড়ে ৩ বছরের রাষ্ট্রপরিচালনা কালে তিনি বাঙ্গালী জাতির জন্য ১৯ দফা বাস্তবায়নের জন্য নিজে মাঠে নেমে ছিলেন। তিনি এদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে দেশের মানুষের বাকস্বাধীনতা ফিরিয়ে দিয়ে ছিলেন। আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে কয়েক ভাগে তারা দলকে বিভক্ত করেছেন্ এখন আওয়ামীলীগ নাই এখন এই দল আমলালীগে পরিনত হয়েছে। এখন দেশের প্রধান বিচারপতি, সেনা প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই। দেশে আজ বিচার ব্যবস্থা নাই, বাকস্বাধীনতা নাই, মানুষের মৌলিক অধিকার নাই। এখন প্রতিহিংসা পরায়ন রাজনীত্বিতে আওয়ামীলীগ বিশ^াসী। আজ একটি মিথ্যা মামলা দিয়ে বিচার ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রন করে শেখ হাসিনা আমাদের নেত্রীকে বন্দি করে রেখেছে। এখনও সময় আছে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠান। কারন আপনারদের বিদায় ঘন্টা বেজে গেছে তখন পালাবার পথ পাবেন না।
ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু বলেন, ১৯৭৩ সালে এদেশের জনগণের ভোটাধিকার ও সংবাদ পত্রের স্বাধীনতা হরন করে বাকশায় কায়েম করে ছিলো আওয়ামী সরকার। কিন্তু শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এসে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিয়ে ছিলেন। বর্তমান আওয়ামী লীগ সেই বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে মানুষের অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে। তারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে প্রশাসনের উপর নির্ভর করছে। এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া প্রতিবাদ করায় তাকেও মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে বন্দি করে রেখেছে। তার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে দেশে আসতে বাধা সৃষ্টি করছে। এই অন্যায়ের বিচার এদেশের মাটিতে এদেশের জনগণই করবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক বরকত উল্লাহ বুলু, সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. সুমন মিয়া, সহ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বাবু, মহানগর বিএনপি নেতা হারুন শেখ, আনোয়ার হোসেন, জাহাঙ্গীর মিয়াজী, নজরুল ইসলাম সরদার, শওকত আলী লিটন, ফেরদৌস রহমান, হাজী মনিরুজ্জামান, হিরা সরদার, আল-মামুন, মানিক বেপারী, মহানগর যুবদল নেতা ফয়েজ উল্লাহ সজল, মহানগর মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ডলি আহমেদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নাহার সুলতানা, মহানগর ছাত্র দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি রাফে উদ্দিন রিয়াদ, সহ-সভাপতি অন্তু, শাহীন, মাসুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক পাপন, আরিফ সহ মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।