নারায়ণগঞ্জ বার্তা ( স্টাফ রিপোর্টার ) : প্রবীণ সাংবাদিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব সৈয়দ লুৎফর রহমানকে দেখতে এবার বাড়িতে ছুটে গেলেন আসন্ন নারায়ণগঞ্জ সিটি নিবার্চনে (নাসিক) ১৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। ২৮ই ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাত ৮ টার দিকে শহরের আল্লামা ইকবাল (কলেজ রোড) রোডস্থ বাসায় গুরুতর অসুস্থ স্বাধীনতার যুদ্ধে অংশ নেয়া ওই মুক্তিসেনাকে দেখতে যান তিনি।
এরআগে দুপুরে ঠেলাগাড়ি মার্কা পেয়েছেন মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। এরপর ওই রাতে নিবার্চনী প্রচারণা হিসেবে নাসিক ১৩নং ওয়ার্ড এর কলেজ রোড এলাকায় নির্বাচনী সালাম জানান এবং প্রতিটি বাড়ি বাড়ি গিয়ে গণসংযোগ চালিয়েছেন তিনি।
এ সময় খোরশেদ এর সাথে উপস্থিত ছিলেন টিম খোরশেদ এর সেচ্ছাসেবী আনোয়ার মাহমুদ বকুল, আনোয়ার হোসেন, হাফেজ শিব্বির সহ প্রমুখ। ওইসময় লুৎফর রহমানের পাশে থাকা তার ছোট ছেলে সৈয়দ রিফাত আল রহমান এর কাছ থেকে শারিরীক অবস্থার খোঁজ খবর নেন খোরশেদ। এছাড়াও লুৎফর রহমানের দ্রæত সুস্থতা কামনা করেন তিনি।
জানা গেছে, সৈয়দ লুৎফর রহমান চলতি বছরের গত ১৫ই অক্টোবর শুক্রবার রাত ৯টায় শারীরিক দুর্বলতা ও শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় ভুগতে থাকলে তাকে চিকিৎসার জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেয় হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসকের পরামর্শে ঢাকা মিটফোর্ড হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে ভর্তির জন্য কোন সিট খালি না পাওয়ায় ওইদিন রাতে বারান্দায় সাধারণ বেডে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন চিকিৎসক। এরপর সেখান থেকেও রেফার করা হয় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসাইন্স হাসপাতালে। কিন্তু ওইখানকার চিকিৎসকরাও বিভিন্ন পরীক্ষা করিয়ে ভর্তি নিতে অনাগ্রহ প্রকাশ করে। পরবর্তিতে সোহরাওয়ার্দী নিয়ে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেয়।
এদিকে, রোগীর অবস্থার অবনতি দেখে সিদ্ধিরগঞ্জে অবস্থিত প্রো-অ্যাক্টিভ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের আইসিউতে ভর্তি করা হয়। তৎক্ষনাত কয়েকটি পরীক্ষা করলে ফুসফুসে ইনফেকশন, ডায়াবেটিস ও ব্রেনজনিত রোগ দেখা দেয়। ৪দিন আইসিইউ বেডে চিকিৎসা সেবা প্রদানের পর অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে গত ১৯ই অক্টোবর তাকে কেবিনে দেয়া হয়। ধারাবাহিক চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণ শেষে গত ২৩ই অক্টোবর আবারো রোগীর বুকের এক্স-রে, রক্ত সহ কয়েকটি পরীক্ষা করা হলে চিকিৎসক তার অবস্থার উন্নতি দেখতে পেয়ে বাসায় নেওয়ার পরামর্শ দেন। এরপর হাসপাতাল থেকে গত ২৪ অক্টোবর রিলিজ দেয়া হলে বাসায় নিয়ে আসা হয়।
সর্বশেষ, গত ১৩ই ডিসেম্বর সোমবার নারায়ণগঞ্জে অবিস্থত ল্যাবএইড হাসপাতালে দেখাতে নিয়ে গেলে লুৎফর রহমানের দেহের মূত্রনালীতে সমস্যা ধরা পড়ায় তৎক্ষনাত রোগীর বুকের এক্স-রে, ইসিজি ও রক্ত সহ কয়েকটি পরীক্ষা করতে বলে চিকিৎসক। বর্তমানে মূত্রনালীতে ক্যাথেটার এর ব্যাগ নিয়ে এখন বাসায় শয্যাশয়ী রয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, এরআগে চলতি বছরের ১৯ই অক্টোবর মঙ্গলবার মধ্যরাত ১২ টার দিকে তার ছেলেকে নিয়ে মিজমিজি সাহেবপাড়া সাইনবোর্ড মোড় অবস্থিত প্রো-অ্যাকটিভ মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব সৈয়দ লুৎফর রহমানকে দেখতে ছুটে গিয়েছিলেন সারাদেশে আলোচিত করোনা হিরো খ্যাত মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। ওইসময় লুৎফর রহমানের পাশে থাকা বড় ছেলে সৈয়দ সিফাত আল রহমান লিংকন এবং ছোট ছেলে সৈয়দ রিফাত আল রহমান এর কাছ থেকে শারিরীক অবস্থার খোঁজ খবর নেন তিনি। এছাড়াও লুৎফর রহমানের দ্রুত সুস্থতা কামনাও করেছিলেন খোরশেদ।