নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( ডেস্ক রিপোর্টার ) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবার প্রতি সুবিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, বিচারের জন্য কাউকে যেন চোখের পানি ফেলতে না হয়। তার সরকার এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সব সুবিধা নিশ্চিত করবে। ২৮ই ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিকালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রকাশিত বঙ্গবন্ধু ও বিচার বিভাগ ও বঙ্গবন্ধু অ্যান্ড জুডিসিয়ারি শীর্ষক বাংলা ও ইংরেজিতে মুজিব স্মারকগ্রস্ত এবং ন্যায়কণ্ঠ শীর্ষক মুজিববর্ষের স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ন্যায়বিচার মানুষের প্রাপ্য। যেন সবসময় পায় সেটা আমরা চাই। কারণ আমরা ভুক্তভোগী। তাই আমরা জানি বিচার না পাওয়ার কষ্টটা কী।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা যারা ১৫ই আগস্ট সব হারিয়েছিলাম, আমার মতো বাবা-মা হারিয়ে যেন কাউকে বিচারের জন্য চোখের পানি ফেলতে না হয়। সেটাই আমরা চাই। সেটা আপনারা নিশ্চিত করে দেবেন। আর আমি যতক্ষণ সরকারে আছি এজন্য যা যা দরকার আমরা করবো। তিনি গণভবন থেকে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের মূল অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি অংশ নেন।
শোষিত বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ে জাতির আজীবন সংগ্রামের কথা তুলে ধরার পাশাপাশি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের বিয়োগান্তক অধ্যায় তুলে ধরে দীর্ঘদিন বিচার না পাওয়ার জন্য আক্ষেপ প্রকাশ করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।
ছয় বছর প্রবাসে জীবন কাটাতে বাধ্য হওয়ার পর আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হলে দেশে ফিরে আসেন শেখ হাসিনা। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে ইনডেমনিটি অ্যাক্ট বাতিল করে জাতির পিতা হত্যাকাণ্ডের বিচারের পথ সুগম হয়।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসলে বহু বছর বিচার না পেয়ে মনে অনেক দুঃখ ছিল। যা হোক, এ হত্যার বিচার পেয়েছি। এটাই হচ্ছে সব থেকে বড় কথা।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার রায় কার্যকর হওয়ায় বিচার বিভাগ, দল ও দেশবাসীর প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তবে এখন আরেকটা দায়িত্ব রয়ে গেছে। চক্রান্তটা খুঁজে বের করা। এটা একদিন বের হবে। এতে কোনো সন্দেহ নেই।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। অ্যাপিলেট ডিভিশনের বিচারপতি এবং স্মারকগ্রন্থ এবং স্মরণিকার সম্পাদক মো. নুরুজ্জামান স্বাগত বক্তব্য দেন। মুজিব স্মারকগ্রন্থ এবং স্মরণিকার ওপর অনুষ্ঠানে ভিডিও ডকুমেন্টারিও প্রচারিত হয়।
এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতা ও বঙ্গমাতাসহ ৭৫ এর ১৫ আগস্টের সব শহীদ এবং বিজয়ের এই মাসে সব মুক্তিযোদ্ধার স্মরণে সবাই দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।