নারায়ণগঞ্জ বার্তা ( সৈয়দ রিফাত আল রহমান ) : নারায়ণগঞ্জ শহরে পবিত্র ঈদ-উল-আযহার নামাজ আদায় আদায়ের পর মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে সামর্থ্যবান ধর্মপ্রাণ মুসলমানগন ত্যাগের মহিমায় পশু কোরবানি করা হয়েছে। ১লা আগস্ট শনিবার ঈদ-উল-আযহার নামাজ আদায়ের পরপরই ব্যস্ত হয়ে পড়েন নারায়ণগঞ্জবাসী।
ইসলামী ফাউন্ডেশনের সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী, নারায়ণগঞ্জে এবার মোট ৪ হাজার ১০০ মসজিদে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার জামাত ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে কয়েকটি মসজিদে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় দুই পর্ব বা একাধিক ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোথাও কোথাও ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয় ফজরের নামাজের পর সকাল সাড়ে ৫টায় এছাড়া সকাল সাড়ে ৬টা, সকাল ৭টা, সকাল সাড়ে ৭ টা, সকাল ৮ ও সকাল সাড়ে ৮ টায় এবং ৯ টায় জামাত অনুষ্ঠিত হয়। পরে শহরের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায়, সড়কের পাশে ফুটপাতের উপর শুরু হয় পশু কোরবানি দেওয়ার কাযক্রম ।
এদিকে মহামারি করোনার কারনে সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানগন। এর আগে ঈদের নামাজে সময় মসজিদের ইমাম ও খতিবরা খুতবায় কিভাবে কোরবানি করতে হবে, কোরবানির মাংস কিভাবে বিলি বণ্টন করতে হবে ইত্যাদি সম্পর্কে বয়ান করেন। এছাড়াও বয়ানে মহামারি করোনা ভাইরাস ও চলমান বন্যা থেকে নারায়ণগঞ্জবাসী তথা দেশবাসীকে রক্ষার জন্য মহান আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ জ্ঞাপন করেন। নামাজ আদায় শেষে আল্লাহর কাছে দেশের মঙ্গল কামনায় দোয়া ও আকুতি জানিয়ে প্রার্থণা করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ শহরে বিভিন্ন জায়গায় পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, নাসিক সিটি করপোরেশরেন নির্ধারিত স্থানের বাইরে বেশির ভাগ কোরবানি করা হচ্ছে। অনেক বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়াগন পাড়া-মহল্লায় ও তাদের নিজ নিজ বাসার সামনে কোরবানি পশু জবাই করেন।
এছাড়াও বাসাবাড়ির সামনের রাস্তায়, অলি-গলিতে সর্বত্রই পশু জবাই দেওয়া হয়েছে। সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে পশু জবাই দেওয়ার জন্য স্থান নির্ধারণ করে দেওয়া হলেও সেসব স্থানে কোরবানি দেওয়া হয়নি। কেবল তা-ই নয়, কোরবানির পশুর বর্জ্য অনেকেই ড্রেনে ফেলেছেন এমনি চিত্র বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়। নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাড়া, আল্লামা ইকবাল রোডের কলেজ রোড এলাকায়, গলাচিপা, রুপার বাড়ি, চেয়ারম্যান বাড়িসহ শহরের বিভিন্ন সড়ক ও এলাকায় দেখা যায় পশু কুরবানি জবাই করা কাযক্রম। তাছাড়া সরকারে স্বাস্থ্যবিধি দিক মেনে পশু কোরবানি করা দেখা গেলেও কোথাও কোথাও আবার দেখা মিলে ভিন্ন কাযক্রম। শহরের বিভিন্ন জায়গায় কোথাও কোথাও কোরবানি করার সময় ছিলো না মুখে মাস্ক ও হাতে হ্যান্ড গ্লাবস।
বিশ্বে মহামারি করোনার কারনে পবিত্র ঈদ-উল ফিতরের মতো এবারও প্রচলিত রেওয়াজ অনুযায়ী হাতে হ্যান্ড শিক ও কোলাকুলি নির্ষেধ থাকায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানগন দূরত্ব বজায় রেখে নামাজ আদায় শেষে সালাম দিয়ে মুখে মুখে ঈদ মোবারক ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।