সন্ত্রাসী নিয়ে পুলিশের সাবেক সদস্যকে মারধর, কাউন্সিলর বাবুর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : পানির সংযোগ বিছিন্ন করার প্রতিবাদ করায় নিজের পালিত সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে ১৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর  আব্দুল করিম বাবু সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে মারধরের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মারধরের শিকার হওয়া পুলিশের সাবেক সদস্য দৌলত খান। এ সময় তার টাকার উৎস কোথায় তা খুঁজে বের করে আইনআনুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার ২৭ মে দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন দৌলত খান।

তিনি বলেন, পাইকপাড়া এলাকায় ৪০২/২ শাহসুজা রোডে অবস্থিত আমার বাসার সামনে এসে তাবি মিয়ার ছেলে রিয়াজসহ ৪/৫ জন যুবককে সাথে নিয়ে পানিত সংযোগ বিছিন্ন করতে থাকে। এ সময় আমি বের হয়ে বিছিন্নের কারণ জানতে চাইলে তারা জানায় কাউন্সিলর বাবু তাদের পাঠিয়েছে, এতে আমি রাগান্বিত হয়ে বলি নির্বাচন শেষ পানিও শেষ। একথা বলার পর রিয়াজ তার ফোনে বাবুকে মিথ্যা কথা বলে। এতে বাবু উত্তেজিত হয়ে ভাই আশরাফ ওরফে আরশাদসহ আরো ১০/১২ জনকে সাথে নিয়ে লাঠি সোটাসহ সন্ধ্যায় আমার বাড়িতে অবৈধভাবে প্রবেশ করে এবং আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আমি প্রতিবাদ করলে আমাকে মারধর করে বাবু। এক পর্যায়ে তার লালিত সন্ত্রাসীগণ আমাকে বাসা থেকে কলার ধরে টেনে হিচরে বের করে পুনরায় মারপিট করে। এতে আমি আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ি। পরে বাবু ও আমার পরিবারকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়।

দৌলত বলেন, এ ঘটনায় আমি সদর থানায় আরশাদ, রিয়াজ, লিটন, আরমান, সুমন, বদু সহ অজ্ঞাত ৫/৬ জনকে বিবাদী করে অভিযোগ দায়ের করি। কিন্তু তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই স্বপন কুমার দাস সঠিকভাবে অভিযোগ তদন্ত না করে গড়মসি করে। পরে আমি সুবিচার প্রার্থী হয়ে ১৫ মে জেলা পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি, তার সাথে দেখা করি ও সবকিছু খুলে বলি। পুলিশ সুপারের নির্দেশে ১৭মে সদর মডেল থানায় আমার অভিযোগটি পরে মামলা হিসেবে রুজু হয়। মামলা নং ২৯।

তিনি আরো বলেন, কাউন্সিলর বাবু একজন খারাপ প্রকৃতির লোক। ১৭ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় তার লালিত একাধিক সন্ত্রাসী বাহিনী রয়েছে। তার বিরুদ্ধে জল্লারপাড়া এলাকায় একটি ডাকাতির ঘটনায় মালামাল ভাগ বাটোয়ারার অভিযোগ রয়েছে এবং ঐ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত এক আসামী বাবুর নাম উল্লেখ করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। এ ছাড়াও মাদক বিক্রেতাসহ ভয়ংকর অপরাধীদের সঙ্গে তার গোপন সখ্যতা রয়েছে। এলাকায় নিরীহ মানুষ তার ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায়না।

add-content

আরও খবর

পঠিত