রোজাদারদের জন্য পাঁচটি পুরস্কার

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( ডেস্ক রিপোর্ট ) : রমজান মাসে রোজা মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন কর্তৃক ফরজ বিধানগুলোর মধ্যে অন্যতম এবং ইসলামের পাঁচটি ভিত্তির মধ্যে তৃতীয়তম ভিত্তি। রোজা রব্বে কারিমের কাছে এতটাই প্রিয় যে হাদিসে কুদসিতে মহান আল্লাহ বলেন, রোজা আমার জন্য এবং আমি নিজে এর পুরস্কার দিব। সুতরাং যেখানে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন স্বয়ং নিজে পুরস্কার দেবেন, সেখানে পুরস্কার কতটা অফুরন্ত হতে পারে, বান্দা সেটা ধারণাও করতে পারে না। রোজাদারের জন্য মহান আল্লাহ আখিরাতে অফুরন্ত নেয়ামতের পাশাপাশি পার্থিব পুরস্কারও রেখেছেন।

হজরত আবু হুরায়রা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেন, রমজান মাসে আমার উম্মতকে এমন পাঁচটি পুরস্কার দেওয়া হয়েছে, যা পূর্ববর্তী কোনো উম্মতকে দেওয়া হয়নি।

১. রোজাদারের মুখের ঘ্রাণ আল্লাহর কাছে মেশকের চেয়েও অধিক প্রিয়।

২. গর্তের পিপিলিকা থেকে শুরু করে সমুদ্রের মাছও রোজাদারের জন্য ইফতার পর্যন্ত দোয়া ও মাগফিরাত কামনা করতে থাকে। এর মানে ফেরেশতাসহ সমস্ত সৃষ্টিই রোজাদারের জন্য দোয়া করতে থাকে।

৩. রোজাদারের জন্য প্রতিদিন বেহেশত সাজানো হয়। তারপর আল্লাহ বেহেশতকে বলেন, আমার নেককার বান্দাগণ শিগগিই দুনিয়ার দুঃখ-কষ্ট দূরে নিক্ষেপ করে তোমার মধ্যে চলে আসবে।

৪. রমজান মাসে উচ্ছৃঙ্খল শয়তানদের শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। ফলে তারা ঐ সব গুনাহ করাতে পারে না, যেসব গুনাহ অন্য মাসে করাতে পারত।

৫. রমজানের শেষ রাতে রোজাদারের গুনাহ মাফ হয়ে যায়। তখন সাহাবায়ে কেরাম আরজ করলেন, এই গুনাহ মাফ কি শবে কদরের রাতে হয়ে থাকে? রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, না বরং শ্রমিক কাজ শেষ করার পরেই মজুরি পেয়ে থাকে। এর মানে রমজান মাসে শবে কদরের পুরস্কার ছাড়াও রোজা রাখার কারণে আলাদা একটি পুরস্কার রমজানের শেষ তারিখে দেওয়া হয়। সেটা হলো রোজাদারের গুনাহ মাফ হয়ে যাওয়া।

add-content

আরও খবর

পঠিত