রূপগঞ্জে লাখ টাকার বিনিময়ে ফেনসিডিল বিক্রেতাকে ছেড়ে দিলো পুলিশ

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( রূপগঞ্জ প্রতিনিধি ) : নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জে লাখ টাকা উৎকোচের বিনিময়ে ফেনসিডিল ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে রূপগঞ্জ থানার অসাধু পুলিশ অফিসার এএসআই আনিছুরের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার তারাব পৌরসভার মাসাব এলাকা থেকে আটকের পর ১ লাখ ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে ফেনসিডিল ব্যবসায়ী আমজাত হোসেনকে ছেড়ে দেয়া হয়।

সুত্র জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুর একটার দিকে রূপগঞ্জ থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আনিছুর রহমান ২২ বোতল ফেনসিডিল ও একটি মটর সাইকেলসহ মাসাব এলাকা থেকে আমজাত হোসেনকে আটক করেন। পরে ছেড়ে দেবার রফাদফা চালান এএসআই আনিছুর রহমান। রাত্র ৮ টা পর্যন্ত রফাদফা (পুলিশের ভাষায় বলা হয় বেচা-কেনা) পর ১ লাখ ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে ওই ফেনসিডিল ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দেয় রূপগঞ্জ থানার অসাধু ও ঘুষখোর অফিসার আনিছুর রহমান।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, মৈকুলী এলাকার মৃত আতর উদ্দিনের ছেলে আমজাত হোসেন ফেনসিডিল, ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক ব্যবসা করে আসছে। এলাকাবাসী আমজাত হোসেনকে ফেন্সি আমজাত বলেই চিনেন। এএসআই আনিছুর রহমানের মতো কিছু অসাধু পুলিশ অফিসারের সেল্টারেই এসব মাদক ব্যবসায়ীরা মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছে। এতে করে যুব সমাজ ধ্বংশের দিকে চলে যাচ্ছে। এএসআই আনিছুরের অপসারন দাবি করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।

রূপগঞ্জ থানা সুত্র জানায়, গ্রেফতার বানিজ্য ও মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে সখ্যতার কারনে গত তিন বছরে রূপগঞ্জ থানা থেকে তিনি দুই বার বদলী হন তিনি। গত সাড়ে তিন মাস আগে ফের বদলী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় যোগদান করেন। যোগদান করার পর থেকে তিনি আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেন এবং বেশ দাপটের সঙ্গেই মাদক ব্যবসায়ী ও ওয়ারেন্টের আসামী গ্রেফতারের পর মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বেচাকেনা করে থাকেন। তার সঙ্গে পুরো উপজেলার প্রায় ২’শাতাধিক মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে রয়েছে ঘনিষ্টতা। ঐসব মাদকের স্পট থেকে তিনি নিয়মিত মাসোয়ারা আদায় করে থাকেন। তার এসব অপকর্মের কারনে থানার অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তাদেরও বিভিন্ন সময় বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়।

উল্লেখ্য, গত প্রায় দুই মাস আগে হাটাব এলাকার কুখ্যাত সন্ত্রাসী ও ফেনসিডিল ব্যবসায়ী বোতল নিশাতকে ৭৭ বোতল ফেনসিডিলসহ আটকের পর ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয় ঘুষখোর এএসআই আনিছুর রহমান।

এ ব্যপারে অভিযুক্ত এএসআই আনিছুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন। টাকা নেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি নিরবতা পালন করেন।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে যদি অভিযোগ প্রমান পাওয়া যায় তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

add-content

আরও খবর

পঠিত