মাদক বিক্রেতা আলমগীরকে চালান করে, প্রবাসী আলমগীরকে আটক দেখালেন ডিবি

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( নিজস্ব প্রতিবেদক ) : মাত্র কিছু দিন বিরত থাকার পর আবারও গ্রেফতার বাণিজ্যে মেতে উঠেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা  পুলিশের বিশেষ দলগুলো। জেলার বিভিন্ন থানা, উপজেলাসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকার চিহ্নিত ও শীর্ষ মাদক বিক্রেতাসহ চিহ্নিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে মোটা অংকের টাকা আদায় করে পরে আদালতে ৩৪ ধারায় চালান করার ঘটনার অভিযোগটি প্রায়ই পাওয়া যায়।

এই ঘটনার কারণে সদ্য বিদায়ই পুলিশ সুপার মুহিদ উদ্দিন, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ব্যপক রদ বদল করে পূণরায় নতুন টিম গঠন করে ব্যাপক আলোড়নের নজির ঘটিয়েছিলেন। এর ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা পুলিশের টিম গুলোর মধ্যে গ্রেফতার বাণিজ্য বন্ধ হয়ে গেলেও বর্তমানে পূণরায় শুরু হয়েছে তাদের গ্রেফতার বাণিজ্যের মধ্য দিয়ে র্অথনৈতিক স্বার্থ উদ্ধার ।

প্রায় র্দীঘদিন বিরত থাকলেও ডিবি পুলিশের বিরুদ্ধে শনিবার আবারও গ্রেফতার বাণিজ্য নিয়ে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এবার ডিবি পুলিশের এক নাম্বার টিমের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা ও তার টিমের সদস্যরা  জেলার সিদ্দিরগঞ্জ থানার চিহ্নিত শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী আলমগীরকে গ্রেফতার করে মোটা অংকের টাকা নিয়ে ৩৪ ধারায় চালান করার ঘটনাটি নিয়ে টক অব দ্যা টাউনে পরিণত হয়েছে।

এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগে প্রকাশ, সিদ্দিরগঞ্জ থানা এলাকার চিহ্নিত শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ফেন্সী আলমগীরকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর সানারপাড় এলাকা থেকে প্রায় ৫০টি ইয়াবা ও দুই বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশের এক নাম্বার টিম। ঐ রাতেই আলমগীরের সাথে মোটা অংকের চুক্তি হয়, যে তাকে ৩৪ ধারায় আদালতে প্রেরণ করার জন্য। পরদিন শুক্রবার সকালে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ফেন্সী আলমগীরকে ৩৪ ধারায় আদালতে প্রেরণ চুক্তি মতে কাজও করেন ডিবি পুলিশের সে কর্মকর্তা। এরপর আদালত থেকে মুক্তি পেয়ে এলাকায় ফিরে আলমগীর তার সহযোগীদের নিয়ে ডিবি পুলিশের সোর্স ইমরানকে ধরে রাস্তায় নাজেহাল করে বলে ২ লাখ টাকায় ছুঁটে এসেছি । টাকা দিলে কি না হয় তবে তোকে দেখে নিবো ইমরাণ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রের অভিযোগে প্রকাশ সিদ্দিরগঞ্জ থানার তালিকাভূক্ত ও একাধিক মামলার আসামী আলমগীর। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকার পরও তাকে কেন ৩৪ ধারায় আদালতে প্রেরণ করা হলো এই প্রশ্নের উত্তরে ডিবি পুলিশের এক নাম্বার টিমের পুলিশ কর্মকর্তা এসআই জাহাঙ্গীর ও মাজহার স্থানীয় গনমাধ্যমকে জানান, তারা মাদক ব্যাবসায়ী আলমগীরকে গ্রেফতার করেননি তবে আলমগীর নামের এক র্জামান প্রবাসীকে গ্রেফতার করেছে এবং তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট থাকায় সে আলমগীকে সিদ্দিরগঞ্জ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। তবে গেস্খফতারকৃত জার্মান প্রবাসী আলমগীর ওয়ারেন্টের আসামী আলমগীর কিনা এব্যাপারেও যথেষ্ট সন্ধেহ পোষন করেছেন এলাকাবাসী। কারণ মাদক ব্যাবসায়ী আলমগীরকে গ্রেফতারের পর আদালতে ৩৪ ধারায় প্রেরণের ঘটনাটি ধামা চাপা দেয়ার জন্যই র্জামান প্রবাসী আলমগীরকে দ্রুত আটক করে সিদ্দিরগঞ্জ থানায় সোপর্দ করে এসআই মাজাহার ও তার সহযোগী পুলিশ কর্মকর্তা।

উল্লেখ্য,  বিগত ২০১৫ সনের এপ্রিল মাসের ১ তারিখের রাতে ডিবি পুলিশের এস আই এনায়েত সংঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সিদ্দিরগঞ্জের সানারপাড় এলাকায়  অভিযান চালিয়ে ২ বস্তা ভর্তি কয়েক হাজার বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করে । এরপর এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানতে পারে উদ্ধারকৃত ফেন্সিডিলের মূল মালিক আলমগীর ও তার সহদর জসিম উদ্দিন। এরপর থানার চিহ্নিত শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী আলমগীর ও তার ভাই জসিমকে আসামী করে সিদ্দিরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন এস আই এনায়েত কবীর। উক্ত মামলার র্নিদিষ্ট আসামী থাকার পরও কেন ডিবি পুলিশ তাকে ৩৪ ধারায় আদালতে পাঠায় এটাই এখন বিভিন্ন মহলের প্রশ্ন উঠেছে।

add-content

আরও খবর

পঠিত