ভন্ডপীরের আস্তানার বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ মিছিল

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( রূপগঞ্জ প্রতিনিধি ) : রূপগঞ্জে স্বপ্নে ধর্ষণের ব্যাখ্যা দিয়ে এক কিশেরারীকে বৃদ্ধ ভন্ডপীরের বিয়ে করা ও অসামাজিক কর্মকান্ডকে কেন্দ্র করে ভন্ডপীরের আস্তানা আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে ও ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়ার পর আস্তানা ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলো ভন্ডপীরসহ তার অনুসারীরা। ফের ঐ ভন্ডপীর আস্তানায় ফিরে আসার পায়তারা করছে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ভন্ডপীরের আস্তানার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছেন। ১৭ ই ফেব্রুয়ারী শুক্রবার বিকালে উপজেলার তারাব পৌরসভার মাসাব এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে কান্দাপাড়া, তেতলাবো, ঐরাবো, পেরাবো, দক্ষিন মাসাবো, গড়িয়াভিটা, গজারিয়াপাড়া, সুতালারা এলাকা প্রদক্ষিণ করে। বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর একটাই কথা ভন্ডপীরসহ তার অনুসারীরা এখানে আস্তানা করতে আসলে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দেয়া হবে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার মাসাব চৌরাস্তা এলাকায় ময়ফুলনগর দরবার শরিফ নামে একটি ভন্ডপীরের আস্তানা রয়েছে। ঐ দরবার শরিফের পীর দাবি করে আসছেন আনিছুল হক নামে এক ভন্ড। দীর্ঘ দিন ধরে বিভিন্ন এলাকার কিশোরী, যুবতীসহ কম বয়সের নারীরা ভন্ডপীর আনিছুল হকের প্রতারণার ফাঁদে পড়েছেন।

পার্শবর্তী সোনারগাঁও উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের পেরাব এলাকার শহীদ মিয়ার মেয়ে কিশোরী সুমাইয়া আক্তার তার পরিবারের সঙ্গে ভন্ডপীরের আস্তানায় বসবাস করতেন। ভন্ডপীর আনিছুল হক স্বপ্নে ধর্ষণের ব্যখ্যা দিয়ে কিশোরীর পরিবারকে জানায়, তিনি ও তার ভক্তবৃন্দ স্বপ্নে দেখেন কিশোরী সুমাইয়া আক্তারের সঙ্গে ভন্ডপীরের দৈহিক মিলন ঘটে। এছাড়া ওই কিশোরীকে বিয়ে না করলে ভন্ডপীর আনিছুল হক মারা যাবেন। এরপর বিষয়টি সুমাইয়া আক্তারের পরিবারকে বিষয়টি জানানো হয়। পরে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে বিয়ের দিন ধার্য করা হয়। এছাড়া ভুরিভোজের মাধ্যমে এলাকার অনেক ভক্তবৃন্দকেই ঐ বিয়েতে দাওয়াত করা হয়।

স্বপ্নে ধর্ষণের ব্যাখ্যা দিয়ে এক কিশেরারীকে বৃদ্ধ ভন্ডপীরের বিয়ে করা ও অসামাজিক কর্মকান্ডকে কেন্দ্র করে গত ২০১৬ সালের ২০ ফেব্রুয়ারী শনিবার রাতে উপজেলার তারাব পৌরসভার মাসাবো এলাকায় মাসাবো, পেরাব, আড়িয়াবো, বরপা, কান্দাপাড়াসহ আশ-পাশের এলাকার শত শত জনতা ভন্ডপীরের আস্তানার সামনে অবস্থান করে। এসময় বিক্ষুব্ধ জনতা দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল করেন। বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ভন্ডপীরের আস্তানা ভাংচুর ও আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলো। ঐ সময় ভন্ডপীর আনিছুল হকসহ তার অনুসারীরা পালিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ এর প্রতিবেদককে বলেন, এলাকাবাসী অভিযোগ দিলে ভন্ডপীর নামক প্রতারকদের কোন প্রকার ছাড় দেয়া হবে না।

add-content

আরও খবর

পঠিত