বন্দর উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ (বন্দর প্রতিনিধি ) : বন্দর উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকালে উপজেলা মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত। বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তথা প্রথম শ্রেনীর বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেট মৌসুমী হাবিবের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বন্দর থানা আ:লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা এমএ রশিদ, বন্দর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আতাউর রহমান মুকুল,বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম, বন্দর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার, বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহমেদ, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ দেলোয়ার হোসেন প্রধান, ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুম আহমেদ, মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাকসুদ হোসেন, মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এমএ সালাম, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি বাচ্চু মিয়াসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।

সভায় বক্তারা বন্দরের আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন। সভায় ধামগড় ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাসুম আহম্মেদ তার বক্তব্যে বলেন, কামতাল ফাঁড়ির ইনচার্জ মোস্তাাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে সখ্যতা ও নিরীহ লোকদের হয়রানির অভিযোগ রয়েছে।কিছুদিন পূর্বে কামতাল ফাঁড়ির ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমানের নামে মাদক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে উৎকোচ নিয়ে ছেড়ে দেয়ার ঘটনা শুনে খুবই মর্মাহত হয়েছি। রক্ষক যদি ভক্ষক হয় তাহলে মানুষ আর কাউকে বিশ্বাস করবে না। তিনি আরো বলেন,লাঙ্গলবন্ধের চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামী ফুয়াদ জাবের,ফারুক,রফিকসহ তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে আতাত করে চলছে। প্রশাসন যেখানে মাদক নিয়ন্ত্রণে কিংবা দেশ সেবায় নিয়োজিত থাকবে সেখানে কি হচ্ছে। কতিপয় অসাধু প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দূর্নীতির কারনে মানুষের মাঝে আজ তাদের সমন্ধে ভ্রান্ত ধারনা সৃষ্টি হচ্ছে। অথচ পুলিশ দেশ সেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এর যথাযথ প্রতিকার হওয়া দরকার।

মাসুম চেয়ারম্যানের বক্তব্যেও পাশাপশি অন্যান্য ইউপি চেয়ারম্যানরাও তার বক্তব্যেও সাথে সহমত প্রকাশ করেন।  বন্দর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আতাউর রহমান মুকুল বলেনমাদকের সাথে কোন অফিসার আপোস করলে আর তা যদি প্রমানিত হয় তাহলে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রয়োজনে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করা হবে। পুলিশ দেশের অগ্রনী ভূমিকা পালনে সচেষ্ট থাকবে সে ক্ষেত্রে যদি মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে সখ্যতা করে তাহলে তো দেশ রসাতলে যাবে। যে কোন মূল্যে মাদক ব্যবসায়ীদের উৎপাটন করে সমাজকে রক্ষা করতে হবে। মাদকের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ভাবে মিশনে নামতে হবে। সেক্ষেত্রে পুলিশ সদস্য জড়িত থাকলেও তা শিকড় থেকে কেটে ফেলতে হবে।

বন্দর উজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী হাবিব তার সভাপতির বক্তব্যে বলেন, বিষয়গুলো নিয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। বন্দর থানার ওসি আবুল কালামকেও তিনি সভায় বক্তাদের মাদক সংশ্লিষ্ট পয়েন্টগুলো নিয়ে বিশেষভাবে খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার অনুরুধ জানান।

add-content

আরও খবর

পঠিত