বন্দরে মাদ্রসার ৩০ শিক্ষার্থীকে জুতাপেটা করায় বিক্ষোভ

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর প্রতিনিধি ) : বন্দরে মুছাপুর দারুসুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি  কর্র্তৃক ১০ শ্রেনীর ৩০ শিক্ষার্থীকে জুতাপেটা করায় মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ করেছে। ১৪ই মার্চ বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা মাদ্রসার সভাপতি ও আরবী শিক্ষক আব্দুস সালাম মাস্টারের অপসারণ দাবিসহ তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে। গত মঙ্গলবার বিকেলে ম্যানেজিং কমিটির সভায় মাদ্রসার ১০ম শ্রেনীর ৩০ শিক্ষার্থীদের জুতাপেটা করেন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শাহাদৎ হোসেন। এ ঘটনার পর থেকে সভাপতি আর মাদ্রসায় আসেননি।

শিক্ষার্থীরা জানান, গত বৃস্পতিবার ১০ম শ্রেনীর ছাত্র সাজ্জাদ পাঞ্জাবীর সাথে পেন্ট পড়ে মাদ্রসায় আসায় আরবী শিক্ষক আব্দুস সালাম ছাত্র সাজ্জাদকে মারধর করে। এ ঘটনায় ছাত্ররা প্রতিবাদ করায় ম্যানেজিং কমিটির সভা চলাকালে বিনা এজেন্ডায় সালাম মাস্টার বিষয়টি উত্থাপন করায় মাদ্রসার সভাপতি ১০ম শ্রেনীর ৩০ ছাত্রকে উপস্থিত ম্যানেজিং কমিটির সামনে প্রকাশ্যে মাঠে দাঁড়করিয়ে জুতাপেটা করেন। এ ঘটনায় ছাত্ররা ক্ষিপ্ত হয়ে গতকাল বিক্ষোভ করে। বিক্ষোভ শেষে ছাত্ররা থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন। এ ব্যপারে মাদ্রসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মহিউদ্দিন জানান, ছাত্ররা উশৃখল আচরন ও মাদ্রসার মহিলা শিক্ষককে খারাপ মন্তব্য করায় সভাপতি তাদের জুটাপেটা করেছে। আব্দুস সালাম মাস্টার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।

এ ব্যাপারে বন্দর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আ.ক.ম নুরুল আমিন বলেন, শিক্ষার্থীরা অন্যায় করলে তাদের অভিভাবকদের ডেকে এসে তাদের কাছে বিচার দিতে পারতো। শিক্ষার্থীদের জুটাপেটা শাসন নয় এটা অপরাধ। এ ব্যপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যপারে মুছাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন জানান, আমরা বিষয়টি নিয়ে অভিভাবক ও গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সুষ্ঠ বিচার করে দেব। এ আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা শান্ত হয়েছে। এখন আর কোন বিশৃংখলা নেই মাদ্রাসায়। এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি শাহীন মন্ডল বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান সমাধানের দায়িত্ব নিয়েছেন। সমাধান না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

add-content

আরও খবর

পঠিত