ফতুল্লায় ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুন

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : ফতুল্লায় মাদকাসক্ত ছোট ভাই হৃদয় বড় ভাই লিটন (৩৩) কে ছুরিকাঘাত করে খুন করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার পর এলাকাবাসী পাষন্ড ভাই মাদকাসক্ত হৃদয়কে একটি ঘরে আটকে রাখে। খবর পেয়ে র‌্যাব ১১ এর একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে হৃদয়কে ওই ঘর থেকে আটক করে। শনিবার দিবাগত রাতে কুতুবপুর ইউনিয়নের দক্ষিন নয়ামাটি এলাকায় শামসুল আলমের বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার পর ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামাল উদ্দিন ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শাহজালাল ঘটনাস্থল  পরিদর্শন করেন। আটক হৃদয় মাদারীপুর জেলার করতি গ্রামের  আব্দুল বারেক খানের ছেলে।

জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে আব্দুল বারেক খান ৪ ছেলেসহ দক্ষিণ নয়ামাটি এলাকার শামসুল আলমের বাড়িতে ভাড়া থাকেন। হৃদয় সবার ছোট। সে একজন মাদকাসক্ত যুবক। মাদকাসক্তের কারণে হৃদয়রের স্ত্রী তাকে তালাক দিয়ে অন্যত্র চলে যায়। অপর দিকে নিহত লিটন ২ সন্তানের জনক। শনিবার রাত ৮ টার দিকে হৃদয় তার মায়ের সাথে লিটনের রুমে গিয়ে দরজা লাগিয়ে কথা বলছিল। এসময়  হৃদয়ের সেঝ ভাই রহিম দরজা খুলতে বলেন। কিন্তু হৃদয় দরজা না খুলে রহিমের সাথে অসৌজ্যমূলক আচরণ করেন। এরপর লিটন এসে দরজা খুলতে বলে। এসময়  লিটনের সাথেও অশোভন আচরণ  করে হৃদয়।

এক পর্যায়ে হৃদয় দরজা খুলে লিটনকে ধাক্কা দেয়। এতে দুই ভাইয়ের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়।  কিছু বুঝে উঠার আগেই হৃদয় লিটনের রুম থেকে গরুর চামড়া কাটার ছুরি হাতে নিয়ে বড় ভাই লিটনকে ছুরিকাঘাত করে। এরপর আহত লিটনকে নিয়ে গিয়ে পাশের  রুমে দরজা লাগিয়ে দেয় হৃদয়। এ ঘটনায় হৃদয়ের মা-বাবা ও অন্যান্য ভাইদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। পরে লিটনকে মারাত্মক আহতবস্থায় প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পর এলাকাবাসী হৃদয়কে তার ঘরে অবরুদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে র‌্যাব ১১ এর একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘরের দরজা ভেঙ্গে হৃদয়কে আটক করে।

ফতুল্লা মডেল থানার ওসি কামাল উদ্দিন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে  বলেন, যতদূর জানতে পেরেছি হৃদয় মাদকাসক্ত। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হৃদয় তার বড় ভাই লিটনকে ছুরিকাঘাত করে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে লিটনের মৃত্যু হয়।

add-content

আরও খবর

পঠিত