আমিনা জেনারেল হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পরে রোগীর পেটের ভিতর গজ

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : শহরের খানপুর এলাকার আমিনা জেনারেল হাসপাতাল নামের একটি বেসরকারী হাসপাতালে ত্রুটিপূর্ণ চিকিৎসায় সংকটে রয়েছেন প্রসূতি লিপি আক্তার (৩১)। তার বাচ্চা প্রসবের জন্য অস্ত্রোপচার (সিজার অপারেশন) করার সময় পেটের ভিতরে গজ রেখে সেলাই করে দেয়া হয়।

এতে রোগীর শারীরিক অবস্থার মারাত্মক অবনতি ঘটলে অন্যত্র চিকিৎসার জন্য নেয়া হয় রোগীকে। ২৭ ডিসেম্বর বুধবার সন্ধ্যায় এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনায় রোগীর স্বজনরা হাসপাতাল ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করে। ভুক্তভোগী রোগী লিপির স্বামী মো: দুলাল। তাদের বাড়ি সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় মৌচাক এলাকায়।

তার মা রোমেলা বেগম জানায়, গত ৫ সেপ্টেম্বর আমেনা জেনারেল হাসপাতালে লিপি আক্তারের সিজার করা হয়। এরপর কয়েকদিন হাসপাতালে থেকে বাড়ি চলে গেলে কয়েকদিন পর পেটের ড্রেসিং করানো হলে অপারেশনের জায়গায় ইনফেকশন হয়ে যায়। এরপর ড্রেসিংয়ের জন্য এভাবে ১৫ বার হাসপাতালে আসা হয়।

কিন্তু চিকিৎসকরা বরাবর একই কথা বলে। তবে এর মধ্যে রোগীর সিজারের সেলাই খুলে যায়। এতে রোগীর পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়ে যায়। সেলাই খোলা অবস্থায় প্রায় ৫ দিন হাসপাতালে পড়ে থেকে যান্ত্রণায় ছটফট করতে থাকে। এভাবে বার বার হাসপাতালে আসার কারণে চিকিৎসক ও হাসপাতালের লোকেরা বলেন, রোগীর পেট পঁচা, গন্ধ। তাইতো শুধু ইনফেকশন হয়।

তিনি আরো বলেন, সবশেষে আমার মেয়ের অবস্থার অবনতি দেখে তাকে ফ্যামিলি ল্যাব হাসপাতালে চিকিৎসায় জন্য নিয়ে গেলে তার পেট থেকে গজ বের হয়। গত দুই দিন আগে ২৫ ডিসেম্বর এই গজ তার পেট থেকে বের হলেও এখনও শঙ্কায় রয়েছে রোগী। এখন আমার মেয়ের কি হবে। সে কি বাঁচবে নাকি মরবে কে জানে।

হাসপাতালের স্বত্ত্বাধিকারী ডা. আমেনা বলেন, ভুল হতেও পারে তবে রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কিছু বলতে পারছিনা। যদি এমন ভুল হয়ে থাকে তার দায়িত্ব নিতে হবে।

ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ। এবিষয়ে এস আই শামীম বলেন, আমি ঘটনা মৌখিকভাবে শুনেছি। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য, এরআগেও ত্রুটিপূর্ণ চিকিৎসার কারণে স্বজনরা হাসপাতালে ভাংচুর চালায়। পরে বিএমএ এর জেলা সভাপতি ডা. শাহনেওয়াজ বিষয়টি অবহিত হলে ডা. আমিনা খান কে সাবধান করে দেয়। এছাড়াও হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা সেবার মান বাড়িয়ে সঠিক সেবা প্রদানে প্রয়োজনে অভিজ্ঞ ডাক্তার নিয়োগ দেয়ারও পরামর্শ দেন।

add-content

আরও খবর

পঠিত