নারায়ণগঞ্জে জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে সেরা অবস্থানে রয়েছে সরকারি মহিলা কলেজ

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( রিফাত ) :  বৃহস্পতিবার ১৮ আগস্ট প্রকাশিত হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষার ফলাফল। ঐ দিন সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট সারা দেশের উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষার ফলাফল তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এরপর দুপুর ১টায় জেলার সকল কলেজে ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এবার ২০১৬ সালের এইচএসসিতে নারায়ণগঞ্জ জেলায়  পাশ করেছে ১৩ হাজার ৬৯৮ জন। পাশের হার শতকরা ৭৫.৬০ ভাগ। এইচএসসিতে এবার জেলার ৫০টি কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে মোট ১৮ হাজার ১১৯ জন পরীক্ষার্থী। আর জিপিএ-৫ এ প্লাস পেয়েছেন ৫৮২ জন। এবার নারায়ণগঞ্জ জেলায় শীর্ষ কলেজের তালিকায় রয়েছে সরকারী মহিলা কলেজ। সরকারী মহিলা কলেজ থেকে মোট ২৮১৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে পাশের হার দাড়ায় ৮০.৭০ ভাগ । যার মধ্যে পাশ করেন ২২৭১ জন। আর এ প্লাস পেয়েছে ১৪৪ জন। জেলায় জিপিএ-৫ প্রাপ্তির দিক থেকে সেরা অবস্থানে রয়েছে সরকারি মহিলা কলেজ। এ কলেজ থেকে ১০১ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে।

১১৪টি জিপিএ-৫ পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে সরকারী তোলারাম কলেজ। সরকারী তোলারাম কলেজ থেকে ২৭১৫ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে ১৮৯৩ জন পাশ করেন। আর এ প্লাস পেয়েছে ১১৮ জন। পাশের হার  ৬০.৭২ ভাগ । তৃতীয় স্থানে অবস্থানে রয়েছে সিদ্ধিরগঞ্জে গিয়াস উদ্দিন মডেল স্কুল এন্ড কলেজ। সিদ্ধিরগঞ্জে গিয়াস উদ্দিন মডেল স্কুল এন্ড কলেজে ১৮৭ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়ে ১৮৬ জন পাশ করেন। এ প্লাস পেয়েছেন ৯১ জন। সিদ্ধিরগঞ্জের রেবতী মোহন কলেজ ২৮টি জিপিএ-৫ নিয়ে চতুর্থ এবং সিদ্ধিরগঞ্জের রওশন আরা কলেজ ২৩টি জিপিএ-৫ নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে। এবার নারায়ণগঞ্জ জেলার ১৫টি ফাজিল মাদ্রাসা থেকে আলীমে মোট ৩৬৪ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে ৩৫০ জন পাশ করেন। আর এ প্লাস পেয়েছে মাত্র ৩ জন। এর মধ্যে মিজমিজি পাইনাদী ফাজিল মাদ্রাসা থেকে ১ জন, রওজাতুস সালেহীন মাদ্রাসা থেকে ১ জন ও ভূইঘর ডিএস আইএস আলীম মাদ্রাসা থেকে একজন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন। নারায়ণগঞ্জ জেলায় আলীমে এবার পাশের হার শতকরা ৯৬.১৫ ভাগ। দীর্ঘ সাধনার পর প্রকাশিত হয়েছে এইচএসসি ও মাদ্রাসা বোর্ডের আলীম এবং কারিগরী শিক্ষা বোর্ডের ভোকেশনাল পরীক্ষার ফলাফল।  সারা দেশে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলে পাসের হারের দিক থেকে ছেলেদের তুলনায় এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা। তবে মেধার সর্বোচ্চ স্কোর জিপিএ-৫ পাওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে ছেলেরা।

ফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এ বছর মোট ১২ লাখ ৩ হাজার ৬৪০ জন পরীক্ষা দিয়েছেন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৮ লাখ ৯৯ হাজার ১৫০ জন। পরীক্ষায় অংশ নেওয়াদের মধ্যে ছাত্র ৬ লাখ ৫৪ হাজার ১১৪ জন। ছাত্রী ৫ লাখ ৬৪ হাজার ৫১৪ জন। ফলাফল অনুযায়ী, ছেলেদের পাসের হার ৭৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ। আর মেয়েদের পাসের হার ৭৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৫৮ হাজার ২৭৬ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৩২ হাজার ৩৮১ জন ৫৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ , ছাত্রী ২৫ হাজার ৮৯৫ জন ৪৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ ।

add-content

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আরও খবর

পঠিত